যারা ডিজাইন নিয়ে কাজ করেন তাদের জন্য রঙ (color) খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটা ডিজাইনকে পূর্নাঙ্গ রূপ তখনই দেওয়া সম্ভব, যখন আমরা তাতে কালারের সঠিক ব্যবহার করতে পারি। এই জন্য আমাদের সকলের কালার থিওরির আদ্যোপান্ত (Color theory up to bottom) জানা উচিত।
Wassily Kandinsky বলেন,
“Color is a power which directly influences the soul”
তাই, বুঝা যায় রঙ মানুষের মনকে এবং চিন্তাকে প্রভাবিত করতে পারে। গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে ডিজাইনারকে Color Theory বা কালার থিওরি জানা অবশ্যক বিষয়। প্রতিটি কালার আলাদা অর্থ বহন করে। আবার, বিভিন্ন কালারের অর্থবহ সংমিশ্রণে একটি গ্রহণযোগ্য ডিজাইন তৈরি করা সম্ভব। রঙের যদি সঠিক ব্যবহার না জানলে একটি ডিজাইন কখনোই মানসম্মত ডিজাইন হতে পারবে না। তাই, আমাদের রং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।
What is Color theory বা কালার থিওরি কি?
Color Theory হলো নিদিষ্ট কিছু রঙের সাথে সঠিক ভিজ্যুয়াল তৈরি করা। সহজ ভাষায়, বিভিন্ন রকম কালারের সংমিশ্রণে তাৎপর্যপূর্ণ মিনিং তৈরি করা। color theory আসলে শিল্প আর বিজ্ঞানের উদ্ভাবন। ১৮ শতকের দিকে বিখ্যাত বিজ্ঞানী Sir Isaac Newton প্রথম কালার থিওরী উদ্ভাবন করেন।
এখন কালার থিওরী নিয়ে বিস্তারিত বলা যাক।
Primary Color বা মৌলিক রং:
Primary color কে basic বা Foundation কালার বলা যেতে পারে। কোনো রঙের সংমিশ্রণ ছাড়া মৌলিক রঙগুলোই হলো প্রাইমারি কালার।
প্রাইমারি কালার ৩ প্রকারঃ
১। Red ( লাল)
২। Yellow (হলুদ)
৩। Blue (নীল)
Secondary color বা সেকেন্ডারি কালার :
সেকেন্ডারি কালার প্রাইমারি কালার থেকে তৈরি করা হয়।৩ টি প্রাইমারি কালার থেকে ২ টি করে কালারের সংমিশ্রণে সেকেন্ডারি কালার তৈরি করা হয়।
১। Red + Yellow = Orange (কমলা)
২।Yellow + Blue = Green (সবুজ)
৩।Blue + Red = Purple (বেগুনী)
লোগো ডিজাইনের ১৫ টি টিপস জানুন
Tertiary Color বা টারশিয়ারি কালার:
প্রাইমারি কালার আর সেকেন্ডারি কালারের সংমিশ্রণে Tertiary color তৈরি করা হয়।
টারশিয়ারি (Tertiary) কালারগুলো ৬ প্রকারঃ
১। Red + Orange = Red-Orange
২। Orange + Yellow = Yellow-Orange
৩। Yellow + Green = Yellow-Green
৪। Green + Blue = Blue-Green
৫। Blue +Purple = Blue-Purple
৬। Purple + Red = Red-Purple
Color Wheel :
৩ টি প্রাইমারি কালার,
৩ টি সেকেন্ডারি কালার,
৬ টি টারশিয়ারি কালার সমন্বয়ে একটি wheel এর চিত্র তৈরি করা হয়।
একে Color wheel বলে।
Color Temperature:
Cool color এবং warm color কে কালার টেম্পারেচার বলে।
Cool color :
Green, Blue আর Purple কালারকে cool কালার বলে।কালার হুইল এর যেই পাশে এই কালারগুলো আছে সেইপারে এই কালারগুলোর মধ্যবর্তী কালারগুলোও cool color এর অন্তর্ভুক্ত।
Warm color:
Red, Orange, Yellow কালারকে Warm color বলে।
কালার হুইল এর যেই পাশে এই কালারগুলো আছে সেই পাশে এই কালারগুলোর মধ্যবর্তী কালারগুলোও Warm color এর অন্তর্ভুক্ত।
Hue, Saturation আর Value হলো কালারে থিওরিতে ব্যবহার করা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কিছু Attributes।
Hue:
Hue হলো কালারের মূলরঙ (Pure color)।অর্থাৎ কালারের আরেকটি নামই হলো Hue.
Saturation:
কালারের পরিমাণকে Saturation বলে। এটাকে Brilliance অথবা Purity of color বলা যেতে পারে।এর মাধ্যমে High saturation অথবা Desaturate করে কালারের Brightness কমানো-বাড়ানো যায়।
Value:
Value হলো কালারের মান।কালারের Lightness অথবা Darkness ভ্যালুর মাধ্যমে নির্ধারণ করা যায়। value বেশি হলে কালারে আলোর সঞ্চারণ বেশি হয়।আবার value কম কলে কালারে আলোর সঞ্চারণ কম হয়।এখানে কালার প্লেটে Light,Midtones,Dark এর মাধ্যমে পছন্দ মতো কালার নেওয়া যায়।
Shades,Tints এবং Tones কালার থিওরীর খুবই প্রয়োজনীয় বিষয়।
shade:
যে কোনো কালারের সাথে Black কালার মিশ্রিত করে কালারের Darkness বৃদ্ধি করাই হলো Shade.
Base Color(Hue) + Black = Shade
Tints:
যে কোনো কালারের সাথে White কালার মিশ্রিত করে কালারে Darkness কে কমাতে tints ব্যবহার করা হয়।
Base color(Hue) + White = Tints
Tone:
যে কোনো কালারের সাথে Grey( ধূসর) কালারের মিশ্রিত করে যে কালারগুলো তৈরি করা হয় তাকে tone বলে।
Color Harmony:
কালার থিওরী তে কালার ব্যবহারের ৬ টি নিয়ম আছে।
১। Monochromatic Color
২। Complementary Color
৩। Triadic Color
৪। Tetradic Color
৫। Analogous Color
৬। Split complementary Color
Monochromatic Color :
একটিমাত্র রঙের tint , tone , shade মিলে বিভিন্ন ভেরিয়েশনের কালার কে Monochomatic color বলে।এটাকে একরঙা রঙের গ্রুপ বলা যেতে পারে।যদিও ভিন্ন ভিন্ন রঙ থাকে , তবে কৌশলগতভাবে এটি মূলরঙ।
Complementary Color :
Color wheel এর এক রঙের বিপরীতে অন্য আরেক রঙের কালার (tint, tone, shade সহ) থাকাকে complementary color বলে।এক্ষেত্রে এক কালারের বৈসাদৃশ্য আরেক কালার থাকে।
যেমন: নীলের বিপরীতে কমলা।
Triadic Color :
৩ টি কালার নিয়ে triadic color তৈরি হয়। color wheel থেকে একটি কালার সিলেক্ট করার পর , পাশাপাশি ৩ টি কালার বাদ দিয়ে ৪র্থ কালার নিয়ে এবং আবার ৩ টি কালার বাদ দিয়ে পরের কালার নিয়ে একটি ত্রিভুজ আকৃতি তৈরি হয়। এই রঙগুলোর সংমিশ্রণে কোনো ডিজাইনকে কালার করলে সেটি সমৃদ্ধ ও প্রাণবন্ধ মনে হয়।
যেমন: color wheel থেকে Yellow, Blue, Red নিয়ে একটি triadic color হতে পারে।
Tetradic Color :
এটি triadic color এর মতোই। তবে, এক্ষেত্রে ৪ টি কালার এর সমন্বয়ে গঠিত হয়। color wheel এ এই কালারগুলো আয়তক্ষেত্রাকারে থাকে। ৪ টি কালার নিয়ে ডিজাইন করলে tetradic color হতে পারে ডিজাইনারের জন্য best choice।
Analogous Color :
Color wheel এর যে কোনো একটি কালার সিলেক্ট করে তার পাশাপাশি থাকা অনুরূপ কালারগুলো নিয়ে analogous color তৈরি হয়।
যেমন: লাল, লাল-কমলা , এবং কমলা( পাশাপাশি রঙ) নিয়ে Analogous color হতে পারে।
Split Complementary Color :
color wheel এর একটি কালার সিলেক্ট করে তার সম্পূর্ণ বিপরীত কালারটি বাদ দিয়ে তার দুই পাশের কালার নিয়ে split complementary color হয়। এক্ষেত্রে ৩ টি রঙ মিলে এই ধরনের color combination তৈরি হয়।
Lilly Pulitzer বলেনঃ
“I am a believer that color affects people’s moods.”
বলা যায় যে, কালার মানুষের মনকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই,ডিজাইনারের ডিজাইন তৈরি করার জন্য রঙের সঠিক ব্যবহার জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।তাই, ভালো ডিজাইনার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে , কালার থিওরী ভালো মতো জানতে হবে।
দৈনন্দিন জীবনে আমরা সকল ক্ষেত্রে কালার ইউজ বা ব্যবহার করি। ঠিক তেমনি ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরিতে নানান ধরনের কালার ইউজ করি। যেমন- লোগো ডিজাইন, বিজনেস কার্ড, ব্যানার ডিজাইন, পোস্ট ডিজাইন ইত্যাদি কাজে কালার এর ব্যবহার হয়।
Используйте бонусные предложения на https://888starz.today и увеличивайте свои шансы на победу.
Приложение для мобильных ставок от 888Starz доступно для скачивания на Android и iOS https://eva.ru/passport/1118947