বর্তমানে পোর্টফোলিও বা Portfolio ছাড়া কোন কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে। পোর্টফোলিও, শোকেস বা প্রদর্শনীর মাধ্যমে যে কেউ বায়ারদের নিকট সহজেই নিজেক রিপ্রেজেন্ট করতে পারেন।
পোর্টফোলিও বা Portfolio কী?
পোর্টফোলিও মানে হল নিজস্ব কাজ ও অভিজ্ঞতার নমুনা। আপনি যদি কোনো না কোনো কাজে দক্ষ ও অভিজ্ঞ হন, তাহলে আপনারা দক্ষতা, সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে যে যোগ্যতা অর্জন করেছেন তার বিস্তারিত বর্ণনা বা ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনই হলো পোর্টফোলিও বা portfolio।
পোর্টফোলিও(Portfolio ) কেন দরকার?
একটি পোর্টফোলিও আপনার জ্ঞান, যোগ্যতা, সৃজনশীলতা, প্রফেশনাল দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার বিরাট বড় প্রমাণ। এই পোর্টফোলিও (portfolio) এর মাধ্যমে একজন সম্ভাব্য নিয়োগদাতা বা কোম্পানীর প্রতিনিধি সহজেই আপনার কাজের মান বুঝতে পারবেন। যার ফলে, যে কোন কোম্পানী আপনাকে তাদের কাজে নিয়োগ দিতে সুবিধা হবে।
ধরুন, কোনো ব্যক্তি তার কোম্পানীর লোগো বানাবে, অথবা তার ভিজিটিং কার্ড বানাবে। লোগো অথবা ভিজিটিং কার্ড বানানোর জন্য সে যখন আপনাকে কাজটা দিতে চাইবে, তখন যে জানতে চাইবে, আপনার গ্রাফিক ডিজাইনের কাজে অভিজ্ঞতা আর দক্ষতা কতখানি। একমাত্র পোর্টফোলিও থেকেই আপনার কোনো কাজের দক্ষতা আর যোগ্যতা সম্পর্কে ধারণা নেওয়া সম্ভব। যদি পোর্টফোলিও তৈরি করে আপনি আপনার কাজের বিস্তারিত নমুনা সুন্দরভাবে প্রকাশ করতে না পারেন, তাহলে আপনি কাজটি পাবেন না। কেননা, ক্লাইন্ট বা ক্রেতা জানেন না আপনার কাজটায় অভিজ্ঞতা কেমন।
Portfolio এর মাধ্যমে ক্লাইন্ট কীভাবে পাওয়া যায়?
সহজে ক্লায়েন্ট খুজে পেতে আপনাকে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে:
১. যে কাজের চাহিদা বেশি সে ধরনের কাজে আপনি দক্ষতা অর্জন করতে হবে, তাহলে ক্লায়েন্ট পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
২. কোনো কাজের ক্ষেত্রে নিজেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ দক্ষ করে তুলতে হবে। মনে করুন, আপনি গ্রাফিক ডিজাইনার হতে চান। তাই আপনাকে গ্রাফিক ডিজাইনিং কাজে দক্ষতা অর্জন করে নিতে হবে। তাহলেই, আপনি ক্লায়েন্ট পেতে পারবেন।
৩. ক্লায়েন্টের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা পেতে দক্ষতা থাকার সাথে সাথে আপনাকে অবশ্যই একটি পোর্টফোলিও (portfolio) প্রোফাইল তৈরি করে রাখতে হবে। আপনি যে বিষয়ে নিজের কাজের দক্ষতা অর্জন করেছেন, সেটা পোর্টফোলিও প্রোফাইল তৈরি করার সময় অবশ্যই তা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
৪. যদি বিহান্স, ড্রিবল, লিংকডইন, আপওয়ার্ক-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে আপনার পোর্টফোলিও বা portfolio থাকে, তাহলে আপনার গ্রহণযোগ্যতা শতগুণ বেড়ে যাবে এবং ক্লায়েন্ট পাওয়ার সম্ভাবনার পথ সুগম হবে।
লোগো ডিজাইনের ১৫ টি টিপস জানুন
কোথায় ফ্রি পোর্টফোলিও তৈরি করে রাখাবেন?
ফ্রি ব্লগ সাইট, ফ্রি পোর্টফোলিও সাইটের মাধ্যমে আপনি কাজের পোর্টফোলিও রাখতে পারেন।
ফ্রি পোর্টফোলিও (Portfolio) ব্লগ সাইট :
আপনি যদি ফ্রীল্যান্সার হন অথবা ফ্রীল্যান্সার হতে চান তাহলে আপনাকে একটা ভার্চুয়াল বা অনলাইনে পোর্টফোলিও বা portfolio তৈরি করে রাখতে হবে। পোর্টফোলিও তৈরি করতে হলে আপনার একটি ব্যাক্তিগত ওয়েবসাইট বা তৈরি করতে হবে। যেমন, আপনার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে আপনি আপনার কাজের সম্পর্কে তুলে ধরবেন এবং আপনার দক্ষতা প্রমাণ করতে আপনার কাজের নমুনা তৈরি করে রাখবেন।
প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে আপনার অবশ্যই ওয়েবসাইটের নিদিষ্ট নাম প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে আপনাকে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনে নিতে হবে।
তবে আপনি সহজেই ফ্রিতে বা বিনামূল্যে আপনার ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারবেন।
নিচে কিছু ব্লগ সাইটের তালিকা দেওয়া হলো-
WordPress.org
Website – WordPress.org
Blogger
Website – Blogger
Joomla
Website – Joomla
Ghost
Website – Ghost
WordPress.com
Website – WordPress.com
Tumblr
Website – Tumblr
Medium
Website – Medium
Weebly
Website – Weebly
Jimdo
Website – Jimdo
ফ্রি পোর্টফোলিও বা Portfolio :
ফ্রি ওয়েবসাইট (Free Website) অথবা নিজের নামে ডোমেইন বা Domain করে ওয়েবসাইট করতে একজন নতুন ডিজাইনার এর জন্য সময় এবং পরিশ্রমের প্রয়োজন। অনেক ক্ষেত্রে দক্ষতার পাশাপাশি অর্থের যোগান দিতে হয়। এছাড়া নানা ধরনের মার্কেটিং করে নতুনদের কাজ পেতে সমস্যা হয়। তাই নতুনদের জন্য বিহান্স এ পোর্টফোলিও করা সবচেয়ে উত্তম পন্থা।
নিচে কিছু পোর্টফোলিও সাইটের তালিকা দেওয়া হলো-
Behance
Website – Behance
Dribbble
Website – Dribbble
Flicker
Website – Flicker
সর্বপরি, কাজ পেতে হলে বা আপনার অনলাইন ক্যারিয়ার ভাল করতে হলে পোর্টফোলিও বেশি প্রয়োজন। এটা ছাড়া আপনার কাজ পাওয়া পসিবিলিটি একদম ই নেই। ।
0 Comments